আপনার ওয়েব সাইট তখনই সারা বিশ্ব থেকে দেখা যাবে যখন আপনি আপনার সাইট কোন ওয়েব সার্ভারে হোস্টিং করবেন(জায়গা করে নেবেন)। যেমন www.blackhostbd.com একটি হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি। আপনি এই সাইট টি তে বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে এক্সেস করতে পারবেন এবং হোস্টিং সেবা নিতে পারবেন।
হোস্টিং কি? যখন আপনি একটা ওয়েব সাইট তৈরী করবেন তখন কোন পাবলিক ওয়েব সার্ভারে আপনার সাইটটি কপি করে রাখতে হবে। আপনি চাইলে আপনার পিসিকে ওয়েব সার্ভার করতে পারেন তবে এজন্য বেশ প্রস্তুতি দরকার। সাধারনত যেটা করা হয় তা হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি এসব প্রস্তুতি নিয়ে অর্থ্যাৎ ওয়েব সার্ভার ও অন্যান্য সেবা নিয়ে বসে আছে। আপনি তাদের কাছে গেলেই নির্দিষ্ট পরিমান টাকার বিনিময়ে এসব সার্ভিস দেবে। কিছু বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে এসব কোম্পানির বিভিন্ন প্যাকেজ আছে আপনি আপনার সুবিধামত প্যাকেজটি বেছে নিবেন।পরবর্তী টিউটোরিয়ালগুলিতে এসব বৈশিষ্ট্যগুলির আলোচনা করা হবে যাতে একজন বুঝতে পারে কোন্ কোন্ সুবিধাসহ প্যাকেজটি তার দরকার নিজের সাইটটির জন্য।
আমরা ব্রাউজারে যখন একটা ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখি এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তখন ব্রাউজার সেই ঠিকানাটিকে প্রসেস করে একটা সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়। সেই সার্ভার তখন রিকোয়েস্ট অনুযায়ী নির্দিষ্ট পেজটি ব্রাউজারে পাঠিয়ে দেয় এবং আমরা পেজটি দেখি। তো এই সার্ভারটি যদি কখনও বন্ধ থাকে এবং সেই সময় যদি কোন ইউজার রিকোয়েস্ট পাঠায় তাহলে ইউজার দেখবে সাইট টি কাজ করছেনা অর্থ্যাৎ সার্ভার ডাউন।এমন সার্ভার নিতে হয় যেটা ২৪ ঘন্টা প্রস্তুত থাকবে কেননা আপনার সাইটের কোটি কোটি ভিজিটর থাকতে পারে এবং আপনি জানেন না যে কে কখন আপনার সাইটে ঢুকবে (বা আপনার সাইটের জন্য রিকোয়েস্ট পাঠাবে)। একটা সার্ভার কতক্ষন প্রস্তুত আছে সেই সময়টা হচ্ছে সেই সার্ভারের আপটাইম । হোস্টিং কিভাবে কিনতে হয়?
ডোমেইন হোস্টিং সার্ভিস কোথা থেকে নিবেন সেটা ঠিক করবার আগে আপনাকে জানতে হবে বেশ কিছু তথ্য! আপনাকে বুঝতে হবে আপনার প্রাথমিক দরকার গুলিকে। আর সেই বিষয়ে সাহায্য করবার জন্যই এই লেখা। যা জানতে হবেঃ ১. ডোমেইনের সাথে ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল থাকে এবং এটা আপনার হাতেই থাকতে হবে। ২. হোস্টিং এর সাথে হোস্টিং কন্ট্রোল প্যানেল (সিপ্যানেল) থাকে এবং এটাও আপনার হাতেই থাকতে হবে। ৩. আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার কি কনফিগারেশনের সার্ভার ব্যবহার করে। ৪. সার্ভার আপটাইম কত এবং ২৪ ঘন্টা সাপোর্ট আছে কি না। ৫. ম্যানিব্যাক গ্যারান্টি কতদিনের এবং তার শর্ত সমূহ। ৬. একটি সার্ভাসরে কতগুলি করে সাইট হোস্ট করা থাকে। তবে ডোমেইন, হোস্টিং নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে ভালো মানের হোস্টিং প্রোভাইডারের কাছ থেকে নেয়া উচিত। যা দেখে প্রতারিত হবেন নাঃ সাধারণ মানের সার্ভিস প্রোভাইডাররা তাদের হোস্টিং এর দাম অনেক কম রেখে থাকে, তার একটি কারণ হচ্ছে তারা এক সার্ভারেই প্রচুর সাইট হোস্ট করে, যা উচিত নয়। কিন্তু আমাদের সার্ভারের খুবই অল্প পরিমানে সাইট হোস্ট করবার কারণে আমাদের সার্ভার থাকে দ্রুত গতির এবং ঝামেলা মুক্ত। তাই আপাত দৃষ্টিতে আমাদের সার্ভিসের দাম বেশী মনে হলেও আপনিই জিতছেন শেষ পর্যন্ত।
আনলিমিটেড হোস্টিং বলে এক ধরনের হোস্টিং পাবেন। কখনো আনলিমিটেডের ফাদে পা দিবেন না। কারন সার্ভার এর হার্ড ডিস্ক কখনো আনলিমিটেড হয় না। যেমন আমাদের পিসির হার্ডডিস্ক ৫০০ জিবি ১ টেরাবাইট, সার্ভার এর হার্ড ডিস্ক ও এরকম। আনলিমিটেড শব্দ ব্যবহার করে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেয়াই এসব কোম্পানীর কাজ। এদের থেকে দূরে থাকুন।
ওয়েবসাইট কি? ওয়েবসাইট (ইংরেজি: website) বা ওয়েব সাইট অথবা শুধু সাইট হল কোন ওয়েব সার্ভারে রাখা ওয়েব পৃষ্ঠা, ছবি, অডিও, ভিডিও ও অন্যান্য ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা ইন্টারনেট বা ল্যানের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যায়। ওয়েব পৃষ্ঠা মূলত একটি এইচটিএমএল ডকুমেন্ট, যা এইচটিটিপি প্রোটোকলের মাধ্যমে ওয়েব সার্ভার থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওয়েব ব্রাউজারের স্থানান্তরিত হয়। সমস্ত উন্মুক্ত ওয়েবসাইটগুলিকে সমষ্টিগতভাবে “ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব” বা “বিশ্বব্যাপী জাল” নাম দেয়া হয়েছে।
ওয়েবসাইট তৈরীতে ডোমেইন এবং হোস্টিং কী ও তার ব্যবহার কীভাবে হবে?
আমাদের অনেকের নিজের কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েব সাইট তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু একটি ওয়েব সাইট বানানোর জন্য প্রধান দুটি জিনিসের দরকার হয়। একটি হল ডোমেইন নেম আর একটি হল হোস্টিং। ডোমেইন ও ওয়েব হোস্টিংয়ের বিষয়টি অনেকের কাছে কঠিন মনে হয়।
ডোমেইন নেম কি?
মনে করুন আপনার অফিসে কেউ আসতে চায়, তাহলে তাকে অফিসের ঠিকানা জানতে হবে। ওয়েব সাইটের ক্ষেত্রে এই ঠিকানাটা হচ্ছে তার নাম যাকে বলা হয় ডোমেইন নেম। এই ডোমেইন নেমই আপনার ওয়েব সাইটকে এককভাবে আইডেন্টিফাই করবে। বিশ্বের সবাই ওয়েব সাইটটিকে চিনবে এবং একসেস করবে এ নাম ব্যবহার করে।
ডোমেইন নেম সিস্টেম (DNS) কি?
কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক সফটওর্য়ার কিন্তু কোনো ডোমেইন নেমকে সরাসরি বুঝতে পারে না। সে বোঝে নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস বা আইপি অ্যড্রেস। তাই প্রত্যেক ডোমেইন নেমের সাথে একটা আইপি অ্যাড্রেস এসাইন করা হয়। ডোমেইন নেম ব্যবহার না করে এ আইপি অ্যড্রেস দিয়েও সরাসরি ওযেব সাইটটিতে যাওয়া যায়। আইপি অ্যাড্রেস মনে রাখা বেশ কঠিন, সাধারণত ১২ অংকের সংখ্যা হয়। তাই বাস্তবে সবাই ডোমেইন নেম ব্যবহার করে, কিন্তু কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস জানা দরকার যেকোন ধরনের কমিউনিকেশনের জন্য।
সর্বপ্রথম নেটওয়ার্ক ARPANET এর সময় host.txt নামে একটা ফাইলে সব কম্পিউটার এর নাম আর তার আইপি অ্যাড্রেস লিখে রাখা হত। যখন নেটওয়ার্কে কোটি কোটি কম্পিউটার থাকে, তখন এভাবে আইপি অ্যাড্রেস লিখে রাখা সহজ কথা নয়। কারণ প্রতিনিয়ত আইপি অ্যড্রেস সংযুক্ত হয় এবং পরিবর্তিত হয়।এ সমস্যার সমাধানে ধারাবাহিক, ডায়নামিক এবং ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেজ সম্বলিত একটা সিস্টেম দাঁড় করানো হয়েছে, যাকে বলা হয় ডোমেইন নেম সিস্টেম।
ডোমেইন নেমকে কতগুলো লেভেলে ভাগ করা হয়ে থাকে।ওয়েব সাইটের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে প্রায় ১৯টি টপ লেভেল ডোমেইন আছে। এর মধ্যে .edu শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত, .com,ব্যবসায়িক ওয়েব সাইটের জন্য, .biz, খবর ও অনান্য ইনফরমেশন সাইটের জন্য, .org, অর্গানাইজেশনের জন্য এবং অনলাইন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য .net আবার প্রায় প্রত্যেক দেশের রয়েছে নিজস্ব টপ লেভেল ডোমেইন, যেমনঃ ব্রিটেনের .uk,জাপানের .jp, যুক্তরাষ্ট্রের .us, ভারতের .in বাংলাদেশের .bd ইত্যাদি।
ডিএনএস নেম সার্ভার (DNS name server) কী এবং কীভাবে কাজ করে?
বিশ্বে যত ডোমেইন নেম আছে, সেগুলো মিলে একটি ট্রি- এর মত গঠন লাভ করে। এই ট্রি- কে কতগুলো জোনে ভাগ করা হয়। একটি জোনের সব ডোমেইন নেমের দায়দায়িত্ব যে কম্পিউটার নেয় তাকে বলা হয় সে জোনের Authoritative DNS name server. ডিএনএস নেম সার্ভারের দায়িত্ব হল তার জোনে অবস্থিত সব কম্পিউটারের ডোমেইন নেমের সাথে আইপি অ্যাড্রেস ম্যাচ করানো। না পারলে টপ লেভেল ডোমেইনকে জানানো এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা করা। পুরো বিষয়টিকে অনেকটা পোষ্ট অফিসের মত করে ব্যাখ্যা করা যায়। ধরা যাক, আপনি একটি চিঠি লিখলেন। প্রাপকের ঠিকানা যদি আপনার স্থানীয় পোষ্ট অফিসের এলাকায় মধ্যে হয়, তবে তারাই তা পৌঁছে দেবে। আর যদি না হয়, তবে এরা প্রথমে দেখবে প্রাপকের ঠিকানা কোন দেশের তারপর সে দেশের মূল পোষ্ট অফিসে পাঠিয়ে দেবে চিঠি। সেখান থেকে বিভাগ বা জেলা শহরের পোষ্ট অফিসে, এরপর উপজেলায়, তারপর স্থানীয় পোষ্ট অফিসে চিঠিটি পৌঁছে দেবে। ডোমেইন নেমের ক্ষেত্রে এ ঠিকানা খুঁজে বের করাকেই বলা হয় অ্যাড্রেস resolving, আর সেটা কাজ করে ঠিক পোষ্ট অফিসের মতোই। এখন যদি .com রিসলভার যদি blackhostbd.com -এর আইপি অ্যাড্রেস জানতে চায়, তবে প্রথমে সে তার জোনের ডিএনএস নেমসার্ভার .com এর কাছে জানতে চাইবে। যেহেতু technoinfobd.com একই জোনে আছে, তার নেমসার্ভারকে তা জানিয়ে দেবে। কিন্তু যদি সে bdnews24.com – এর আইপি অ্যাড্রেস জানতে চায়, তবে .com – এর নেমসার্ভার তা জানাতে পারবে না। তখন এই ডিএনএস query পাঠিয়ে দেয়া হবে টপ লেভেল .in জোনের নেমসার্ভারে। সেখান থেকে .com নেম সার্ভারে। সে যেহেতু blackhostbd.com এর আইপি অ্যাড্রেস জানে, তাই সে প্রতি উত্তরে .in কে জানিয়ে দিবে।
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনঃ
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনকে তুলনা করা যায় আপনার অফিস বিল্ডিংয়ের জন্য জায়গা লিজ নেবার সাথে। এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য নাম (ডোমেইন নেম) বরাদ্দ করলেন। সাধারণত এক বছরের জন্য এ বরাদ্দ হয়ে থাকে, সময় শেষ হবার আগেই তা রিনিউ করতে হয়, নয়তো অন্য কেউ সে একই নামের জন্য আবার আবেদন করতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন ফর এসাইনড নেমস এ্যান্ড নাম্বারস (ICANN) এসব ডোমেইন নেম ম্যানেজ করে থাকে। ICANN – ই নিশ্চয়তা দেয় যে, প্রতিটা ডোমেইন নেম ইউনিক এবং এর সাথে একটা ইউনিক আইপি অ্যাড্রেস বরাদ্দ করা হয়েছে। আপনি ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করবেন যেসব কোম্পানির মাধ্যমে তাদের বলা হয় রেজিস্ট্রার। বিভিন্ন কোম্পানির ফি ও সেবা বিভিন্ন হতে পারে, তবে একই ফি সাধারণত খুব কমই হয়ে থাকে। আপনি যে নামে ওয়েব সাইট তৈরি করতে চান, রেজিস্ট্রার কোম্পানি প্রথমে অনলাইন ডেটাবেজে সার্চ করবে যে এ নাম অন্য কাউকে বরাদ্দ করা হয়েছে কিনা। কাউকে বরাদ্দ না করে থাকলে কেবল আপনি এ নাম পেতে পারেন। ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশনের সময় আপনার পুরো নাম, অ্যাড্রেস, টেলিফোন নম্বর ও ইমেইল অ্যাড্রেস দিতে হয়, যা WHOIS (who is) ডেটাবেজে সংরক্ষিত থাকে। লক্ষ রাখবেন, এসব তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত এবং আপনার প্রাইভেসি নষ্ট করতে পারে। যে কেউ চাইলে এ তথ্য দেখতে পারে। বর্তমানে অবশ্য ইমেজ কী ভ্যালুর মাধ্যমে software robot ঠেকানো হচ্ছে, তবুও তা প্রাইভেসির নিশ্চয়তা দেয় না। অনেক রেজিস্ট্রারই এ সমস্যা কাটানোর জন্য সামান্য ফির বিনিময়ে নিজেরাই প্রক্সি হিসেবে কাজ করে। সে রকম কোন সার্ভিস নিলে সতর্কতার সাথে তাদের শর্তাবলী পড়ে নিন ভালমতো। আরো দুটি বিষয় নিশ্চিত হয়ে নিন, ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশনের সময় আপনার রেজিস্ট্রেশনের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে? অনেক রেজিস্ট্রার নিজেই তার অধীনস্থ ডোমেইন নেমকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, যা বাঞ্জণীয় নয়। আর এটাও জেনে নিন, পরে আপনি যদি ওয়েব সাইটটিকে অন্য কোনো রেজিস্ট্রারের অধীন নিতে চাইলে সম্ভব কিনা? এ ধরনের সার্ভিসের শর্ত ও ফি সম্পর্কেও ভালমত জেনে নিন। কারণ ভাল সেবার জন্য অন্য কোনো রেজিস্ট্রারের কাছে যেতে হতে পারে। ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশনের কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে আপনার ওয়েবপেজ সবার জন্য উমুক্ত হবে। আপনার রেজিস্ট্রার সাধারণত একটি ডামিপেজ বসিযে দিবে। আপনার ওয়েব পেজকে এবার হোস্টিং করতে হবে। অনেক রেজিস্ট্রার এ হোস্টিংয়ের সেবাও দিয়ে থাকে, তবে আপনি অন্য কোনো কম্পানির মাধ্যমেও তা করতে পারেন। ICANN তাদের নির্ধারিত রেজিস্ট্রারদের মাধ্যমেই ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশনের পরামর্শ দিয়ে থাকে। এরা নূন্যতম মানের নিশ্চয়তা দেয়। এদের তালিকা ICANN http://www.icann.org ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত আছে। ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যাবলী সংরক্ষণ করে থাকে ICANN. বিশ্বের সব ডোমেইন রেজিস্ট্রার ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য পাবেন তাদের http://whois.webhosting.info/ ওয়েবসাইটটিতে।
ওয়েবসাইট হোস্টিং কী?
কোন তথ্যকে অন্যের কাছে তুলে ধরার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট। আজকের কম্পিউটার ব্যবহারকারী মাত্রই ওয়েবসাইট সম্পর্কে অবগত আছেন। সহজ ভাষায় বলা যায়, ওয়েবসাইট হল আপনার তথ্যকে অন্যের সামনে উপস্থাপন করার রাস্তা- সেটা টেক্সট বা মাল্টিমিডিয়া (যেমনঃ ছবি, অডিও বা ভিডিও) যেকোন ধরনের হতে পারে। ওয়েবসাইটে সেগুলো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা ওয়েব ডেভেলপারের কাজ। আর আপনার ওয়েব সাইটটি অন্যদের দেখার জন্য উপযোগী করাই ওয়েব হোস্টিং নামে পরিচিত। আপনার ওয়েবসাইটটিকে যদি তুলনা করা হয় আপনার প্রতিষ্ঠানের অফিস বিল্ডিং হিসাবে, তবে তার তথ্য বা কনটেন্ট হবে এর আসবাবপত্র। আর ওয়েবসাইট ডেভেলপ করাকে তুলনা করা যাবে বাড়িটি তৈরি করার সাথে। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইট হোস্টিংকে তুলনা করা যায় আপনার অফিস বিল্ডিংয়ের জন্য জায়গা কেনা এবং সে জায়গায় বাড়িটি তৈরি করার সাথে। তবেই ভিজিটররা ওয়েবসাইটি ব্যবহার করার সুযোগ পাবে
ওয়েব সার্ভারে ওয়েবসাইট আপলোডঃ
যে ওয়েব হোস্টিং কোম্পানির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করছেন, সেগুলো আপনাকে এর জন্য দরকারী ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দেবে। তাহলেই আপনি FTP বা এফটিপি (ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল) ব্যবহার করে এ কাজটি করতে পারবেন। এ কাজটি সহজ করার জন্য রয়েছে আরো বেশ কিছু সফটওয়ার, যেগুলো সাধারণভাবে ওয়েব বিল্ডার নামে পরিচিত। অনেক হোস্টিং কোম্পানি ও ডোমেইন নেম প্রোভাইডার এটি ফ্রি দিয়ে থাকে বা আপনি অনলাইনেও ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট পাবলিশ করার আগে তার প্রিভিউ দেখেও নিতে পারবেন।
ডেটাবেজ সার্ভারঃ
বেশিরভাগ ওয়েব সাইটেই কোনো না কোনো ডেটাবেজ সার্ভার ব্যবহার করে হয়। এর ফলে তথ্য জমা রাখা, বের করে আনা, সার্চ করা সহজতর হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ডেটাবেজই মুখ্য, ওয়েবসাইটি শুধু ডেটা প্রর্দশন করে। আপনি যে ডেটাবেজ সিস্টেম ব্যবহার করবেন আপনার ওয়েব হোস্টিং কোম্পানিকে অবশ্যই সেটা সাপোর্ট করতে হবে। সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS)- এর মধ্যে রয়েছে মাইএসকিউএল, ওরাকল, মাইক্রোসফট এসকিউএল সার্ভার ২০০৫ ইত্যাদি। ওয়েব সাইট ডিজাইন ও হোস্টিং করার আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসাবে কোনটি ব্যবহার করবেন। কারণ এর সাথে স্ক্রিপিং ল্যাঙ্গুয়েজের ব্যবহার ও ওয়েব সার্ভারের অপারেটিং সিস্টেমও জড়িত।
সার্ভার শেয়ারড নাকি ডেডিকেটেডঃ
মূলত দুই ধরনের হোস্টিং সার্ভিস আছে- শেয়ারড এবং ডেডিকেটেড। দাম ও পারফরমেন্সের বিশাল পার্থক্য জড়িত এখানে। শেয়ারড হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে একই ওয়েব সার্ভারে একাধিক ওয়েবসাইটকে হোস্ট করা হয়। ফলে খরচ অনেক কম হয়। কিন্তু এর ফলে স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ও ব্যান্ডউইডথ সবার মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। কারণ, একটি সার্ভার সব ওয়েবসাইটের সব ভিজিটরকে হ্যান্ডেল করে। যদি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা এক হাজারের নিচে হয়, তাহলে এ ধরনের সার্ভিস বেছে নিতে পারেন। আর অন্য ধরনের সার্ভিস হলো ডেডিকেটেড হোস্টিং। এক্ষেত্রে একটি ওয়েব সার্ভারে শুধু একটি ওয়েবসাইটই হোস্টিং করা হবে। ফলে স্টোরেজ সিপিইউ আর নেটওয়ার্কের পুরো ক্ষমতা ব্যবহার করা সম্ভব হয়। এটি বেশ ব্যয়বহুল। প্রতিমাসে ন্যূনতম ৮০ থেকে ১০০ ডলার খরচ হয়ে থাকে।
প্রয়োজনীয় তথ্য ও ঠিকানাঃ
আপনি আপনার ব্যক্তিগত বা কোম্পানির ওয়েবসাইটটি হয়তো কোনো ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন ফার্ম বা ওয়েব হোস্টিং কোম্পানির মাধ্যমে করালেন তখন এ সংক্রান্ত বেশ কিছু ইনফরমেশন জেনে নেয়া জরুরি। কারণ, কোনো সময যদি এ ফার্মটি বন্দ হয়ে যায় বা ব্যবসায় পরিবর্তন করে, তখন আপনার ওয়েবসাইটির উপর আপনি নিয়ন্ত্রণ হারাবেন, এক বছর পর আইপি এ্যাড্রেস রিনিউ করা না হলে তা হারিয়ে যাবে। সেই সাথে হারিয়ে যাবে আপনার এই ওয়েবসাইটটি। আবার যদি আপনার ওয়েব হোস্টিং কোম্পানির সেবায় সন্তুষ্ট না হয়ে অন্য কারো সার্ভিস নিতে চান, তাহলেও আপনাকে এ তথ্যগুলো জানতে হবে। আপনার ডোমেইন নেমটির দ্বায়দ্বায়িত্ব একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের ওপর ন্যাস্ত করে রেজিস্টার। এই ডোমেইন নেম সংক্রান্ত সব বিষয়ে সবচেযে ক্ষমতাবান এই অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। ডোমেইন নেমের ইউনিক নেম নিশ্চিত করা, তার ফিজিক্যাল এ্যাড্রেস, whois ডেটাবেজে তার এ্যাড্রেস, ইমেইল, টেলিফোন নম্বর পরিবর্তন এ ধরনের সব কাজের ক্ষমতা থাকে এ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের উপর। কাজেই ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এবং ওয়েব হোস্টিং করার সময় এর কন্ট্রাক এ্যাড্রেস অবশ্যই জেনে নিবেন। আপনার ডোমেইন নেম যে সার্ভারে ব্যবস্থাপনা করা হয়, তাকে ম্যানেজ করে এই অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। নেমসার্ভারের সার্বক্ষণিক নিরপত্তা, পরিবর্তন, কনফিগারেশন করা এর দায়িত্ব। আপনার নেম সার্ভার ক্র্যাশ করলে আপনার ওয়েবসাইট কেউ একসেস করতে পারবে না। তাই এ সংক্রান্ত যেকোন সমস্যায় যোগাযোগ করার জন্য এদের এ্যাড্রেস জেনে রাখতে হবে। সুত্রঃ ইন্টারনেট
ডোমেইন নেম হচ্ছে কোন একটা ওয়েবসাইটের নাম। যেমন www.blackhostbd.com একটি ওয়েবসাইট। এখানে www হচ্ছে world wide web, blackhostbd.com হচ্ছে ডোমেইন নেম। আপনার সাইটের জন্য ডোমেইন নাম হল একটি অদ্বিতীয় নাম। এই নামটাই আপনার সাইটের মুল ঠিকানা হবে। সাইটের মুল পাতাটি (হোম পেজ) সাধারনত ডোমেইন নামে অবস্থিত। যেমন “ব্ল্যাক হোস্ট” কোম্পানীর ডোমেইন নেম “www.blackhostbd.com”এই নামটি নিবন্ধন করে নিতে হবে, নিবন্ধন করার সাথে সাথেই ঐ সাইটের সকল তথ্য এবং আইপি এড্রেস DNS (Domain name System) Server এ সংরক্ষিত হয়ে যায়। শেষে যে শব্দটি থাকে যেমন .com, .net, .org ইত্যাদি এগুলো নিজের ইচ্ছামত ঠিক করতে পারেন-সাধারনত কমার্শিয়াল হলে .com, অর্গানাইজেশন হলে .org এভাবে নিয়ে থাকে। প্রতিটি ডোমেইন নামের জন্য সাধারনত ১০ – ১৫ ডলার (৮০০ – ১৫০০ টাকা) দিতে হবে বছরে। যদি .com.bd এরুপ ডোমেইন নেন তাহলে BTCL এ এপ্লিকেশন করে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। ডোমেইন নাম ঠিক করার সময় অবশ্যই এরুপ নাম নিবেন যেটা উচ্চারন সহজ, অর্থপূর্ন, অল্প শব্দে হয়। .com, .org, .net, .biz, .edu ইত্যাদি টপ লেভেল ডোমেইন। এছাড়া অনেক ফ্রি ডোমেইন আছে যেমন, .tk
আরও সহজ করে বলার চেস্টা করছি, ডোমেইন ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ স্থান। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট খুলতে চান তবে ইন্টারনেটে আপনাকে একটি স্থান তথা ডোমেইন কিনতে হবে। এক কথাই বলতে গেলে কোন ওয়েব সাইটের নাম কে ডোমেইন বলা হয়। যেমন আমরা জানি ফেসবুকের URL হল www.facebook .com এইখানে ফেসবুকরে ডোমেইন নাম হল facebook. ডোমেইন নেম কি?
ডোমেইন নেম কি? একটি সহজ উদাহরন, আপনার বাসায় যদি কোন অতিথি আসতে চায় তবে পূর্বেই তাকে আপনার বাসার ঠিকানা জানতে হবে । ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে এই ঠিকানাটা হচ্ছে তার নাম যাকে বলা হয় ডোমেইন নেম । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ডোমেইন কি বা কাকে বলে। এখন বিস্তারিত কিছু জানাযাক ডোমেইন সম্পর্কে, আমরা যখন কোন ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করি তখন সাধারনত http://www.blackhostbd.com এভাবে লিখি এখানে লক্ষ্য করুন প্রথম অংশটি অর্থাৎ http:// কে বলা হয় প্রোটকল, দ্বিতীয় অংশটি www কে World Wide Web যা সংক্ষেপে www নামে পরিচিত, তৃতীয় অংশটিকে (blackhostbd) ডোমেইন নাম বলা হয়, এবং সর্বশেষ অংশটিকে এক্সটেনশন বলা হয়।
প্রত্যেক ডোমেইন নেমের সাথে একটা আইপি অ্যাড্রেস এসাইন করা হয়। ডোমেইন নেম ব্যবহার না করে এ আইপি অ্যড্রেস দিয়েও আমরা সরাসরি ওযেবসাইট ভিজিট করতে পারি কিন্তু আইপি অ্যাড্রেস মনে রাখা বেশ কঠিন, সাধারণত ১২-১৬ অংকের আইপি এড্রেস হয়ে থাকে যা মনে রাখা খুব কষ্টকর তাই সকলের সুবিধার্থে ডোমেইন নেম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।